।। রাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
রাবি: পছন্দের প্রার্থীকে কাজ দেওয়া, দায়িত্বে অবহেলাসহ টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসাইনের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কৃষি প্রকল্পের প্রায় ৩২ বিঘা আম বাগান পুড়ে যায় তার কারণেই। এতে দশ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আম ও লিচু বাগান টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করার অভিযোগও উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতারা দিনে দুপুরে লিচু বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেননি কৃষি প্রকল্পের কোনো কর্মকর্তা।
পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আলী হায়দার অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার পাশে কাঠের লগ বিক্রিতে বাজার দামের চেয়ে প্রায় ১৮ হাজার টাকা কমে এক ক্রেতাকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে চেয়েছিলেন কর্মকর্তা সাজ্জাদ।’
কৃষি প্রকল্পের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের পরিচালক জাহিদ আলী বলেন, ‘কৃষি প্রকল্পে সাজ্জাদের হাত ধরেই কাজে ফাঁকি দেওয়াসহ বড় ধরনের সিন্ডিকেট পরিচালিত হয়। অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস ছেড়ে চলে যান।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি প্রকল্প কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রকল্পের সামান্য কর্মচারী মাত্র। ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে আমি কাজ করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের পরিচালক এমরান আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সারাবাংলা/এমএ/এমও