Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি ছাড়া কারও মাথাব্যাথা নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫৫

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ’র প্রতিনিধি দল, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। এই বিষয়ে সংলাপ প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।’

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপির বিক্ষোভ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ রয়েছে, এটা নিয়ে জনগণের উদ্দীপনা রয়েছে— এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না। বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সাপের খোলস বদলানো মতো।’

এই কর্মসূচী নিয়ে সফররত ইইউ প্রতিনিধিদের কোনো মতামত ছিল কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেখুন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের সময়ে আমাদের মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে, সেটি জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মিডিয়া হচ্ছে প্রাইভেট। বাংলাদেশে বিটিভি একটি সরকারি চ্যানেল, আর ৩৫টি প্রাইভেট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। সামাজিক মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয়, সেটি আমাদের চ্যালেঞ্জ। তাতে করে দেশে হানাহানি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর দায়িত্বশীলতা আছে। ইইউ এ বছরে আইন সংশোধন করেছে। প্রতিটি সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বহুদিন ধরে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সব সামাজিক মাধ্যমকে সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখনো হয়নি। ইউরোপে কিন্তু আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইইউ একটি আইনিকাঠোমো তৈরি করেছে। সব সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনো তারা নিবন্ধিত হয়নি। এটি অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অতীতে দেখেছি, কোনো গুজব যখন ছড়ানো হয়, বিতর্কিত পোস্ট যখন দেওয়া হয়, সেটি যখন সরাতে বলি, তখন তা সরানো হয়। আবার যখন সরায়, তখন ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। কারণ গুজব তো কয়েক ঘণ্টায় ছড়ায়। যদিও বা তারা সেটি সরায়, সেটা মাত্র ১০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ তারা সরায় না।’

ইইউ প্রতিনিধি দলের একজন গ্রিস, একজন ইতালি ও আরেকজন পর্তুগাল থেকে এসেছেন। তাদের হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচন পরিচালনা করে। আইনানুসারে আমাদের দেশেও তাই হবে। নির্বাচনের সময় সরকারের রুটিন কাজ করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা থাকে না। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী, তারা খুবই সক্রিয়।’

‘গাইবান্ধা-৫ আসনে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে ২০-২৫টি কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে। আইনানুসারে এসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার কথা। কিন্তু পুরো নির্বাচন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে। আমরা যদি আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করতাম, তাহলে আমাদের পক্ষে রায় আসতো’— ইইউ প্রতিনিধিকে বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের পর্যবেক্ষক মিশন আসার ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই এসেছেন। বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনতে তারা এখানে আসেননি। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, এটা আমরা চাই বলে তাদের জানিয়েছি।’

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর