Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৯৫% দুর্ঘটনায় দায়ী বাইক-সাইকেল চালক আর পথচারী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ জুলাই ২০২৩ ২১:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য ট্রাফিক আইন না মেনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা ব্যবহার প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এক গবেষণা প্রতিবেদনে। ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ‍মৃত্যু পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পথচারী, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালকরা ৯৫ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

বুধবার (১২ জুলাই) নগরীর টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তার অবস্থা নিয়ে জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট ও তাদের স্থানীয় অংশীদার সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এ পর্যবেক্ষণমূলক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চসিক ও জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিটের যৌথ অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ‘র পক্ষে ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী গবেষণার উদ্দেশ্য ও ফলাফল তুলে ধরেন। এতে জানানো হয়, ২০২১ সালে নগরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯৫ জনের মধ্যে ৮২ শতাংশই ছিলেনপথচারী। বাকিদের মধ্যে ১১ শতাংশ মোটরসাইকেল চালক, ২ শতাংশ সাইকেল আরোহী এবং ৫ শতাংশ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহারকারী।

অনুষ্ঠানে গবেষক ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া জানান, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ দায়ী তিনটি শ্রেণি, যাদের গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন— পথচারী, মোটরসাইকেল চালক ও বাইসাইকেল চালক।

গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৪০ ভাগ যানবাহন গতিসীমা মানে না। এক্ষেত্রে প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ৪৮ শতাংশ হারে দেখা গেছে বাসের ক্ষেত্রে। মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের হার মাত্র ৬৮ শতাংশ। আরোহীদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের হার মাত্র ২০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

যানবাহন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সিটবেল্ট ব্যবহারের হার মাত্র ১৫ শতাংশ। এছাড়া যাত্রী ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবাহন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সিটবেল্ট ব্যবহারের প্রবণতা নেই বললেই চলে। ভারী যানবাহনের চালকদের ক্ষেত্রে সিটবেল্ট ব্যবহারের হার মাত্র ৩ শতাংশ। যানবাহনে শিশুদের ব্যবহার উপযোগী কোনো আসন নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। ২০২১ সালের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করে সেটা উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০২২ সালের কাজ চলছে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সেটাকে সহনীয় মাত্রা রাখা হচ্ছে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।’

অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, সিআইপিআরবির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী বুরহান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

চট্টগ্রাম নগরী সড়ক দুর্ঘটনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর