Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২৩ ২০:২১

ঢাকা: আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অবস্থান করছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফ’র নতুন হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) তথ্য প্রকাশ করবে না। ব্যাংক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফ’র ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, বিপিএম-৬ ফর্মুলায় দেশের রিজার্ভ গণনা। এটি চলতি বছরের জুনের মধ্যেই প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে এদিন বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করল। এর আগে, গত জুনে এই পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশের যে রিজার্ভ (২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার) আছে তা দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল ৬ সংস্করণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস আন্তর্জাতিক রিজার্ভ সংকলন করেছে। যা বিপিএম-৬ নামেও পরিচিত। মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) বলতে বোঝায় একটি দেশের মোট ধারণকৃত বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ, যা আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ এতদিন জিআইআর মানত না।

এতদিন রিজার্ভ থেকে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছিল। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ’র নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় দেয়। এ ছাড়া ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে, অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে এ বছরের ডিসেম্বরে আর শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এসব কিস্তির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

রিজার্ভ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর