Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ কাজ করে যাব: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুলাই ২০২৩ ১৩:১৬

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের এই প্রজন্ম এরাই আগামী দিনে রাষ্ট্রের কর্ণধার। আমাদের আর কতদিন! বয়োবৃদ্ধ হচ্ছি কাজেই কবে আছি কবে নাই। তারপরও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ, অর্থাৎ কাজ করে যাব।’

রোববার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ‘অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময়ে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি, আমরা নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষা করি। আমরা বাংলাদেশকে যে বদলে দিতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। শুধু শিক্ষা নয়, সার্বিকভাবে দেশকে উন্নত করতে পেরেছি। যার কারণে দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। পরনির্ভরশীলতা থেকে আত্মমর্যাদাশীল হতে হবে।’

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর শিক্ষাসহ দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামরিক শাসকরা অস্ত্র তুলে দেয় মেধাবীদের হাতে, তাদের অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি জামায়াত কখনোই চায়নি। মানুষকে পদদলিত রাখা, অন্ধকারে রাখা, শোষণ করা আর নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া… এটাই বিএনপির চেষ্টা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে ৬ বছরের শিশু থেকে কেউই বাদ যায়নি বিএনপি-জামায়াতের নিগ্রহ থেকে।’

এক/এগারোর সরকারের সময় আজকের দিনে নিজের কারাবন্দি হওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “১/১১’র ইমার্জেন্সি আসার পর আমাকেই আগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে, গণস্বাক্ষর পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়। তারা বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে। কখনো ঘাবড়াইনি, আত্মবিশ্বাস ছিল দেশের মানুষের ওপর। নানা প্রলোভন দেয়া হয়। নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় রাখা হবে- এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বলেছিলাম আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে। আর দেশের মানুষের প্রতি একটা কর্তব্যবোধ থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে না দেশের মানুষ সার্বিকভাবে যত উন্নত হবে নিজের জীবনটাও আরও উন্নত হবে। এই বাংলাদেশকে যেন ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা আমরা গড়ে করতে পারি, সেই কারিগর হিসাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের গড়ে তুলবে সেটাই আশা করি।’

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সালের সেটা বাস্তবায়িত হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, দক্ষ জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি; সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই।’ সেভাবে শিক্ষাটাকেও আমাদের বহুমুখী করা একান্ত প্রয়োজন বলেও মত দেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর