ম্যালেরিয়ার হটস্পট পার্বত্য এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুও
১৭ জুলাই ২০২৩ ১৮:২২
ঢাকা: বছরের প্রথম ছয় মাসে কোনো রোগী না থাকলেও জুলাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশাবাহিত আরেক রোগ ম্যালেরিয়াও।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের মোট ম্যালেরিয়া রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি আক্রান্ত হন পার্বত্য তিন জেলায়। তবে এবার সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের বছরগুলোর পরিসংখ্যান। তুলনামূলকভাবে বান্দরবানে সংখ্যাগত দিকে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ঝুঁকির মাত্রা কোনো অংশে কমেনি কোথাও।
রাঙামাটিতে বেড়েছে ম্যালেরিয়া, হটস্পট চার এলাকা
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯০০ জন। তবে চলতি বছর ইতোমধ্যেই এক হাজার ৫০০ জনের অধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অ্যানোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশার কামড়ে হওয়া ম্যালেরিয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কমবেশি সব উপজেলায় রোগী থাকলেও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়।
এর মধ্যে জুরাছড়িতেই জেলায় মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৫১ শতাংশ। জুরাছড়ির দুমদুমিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। এর পাশাপাশি রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে মিলছে এডিস মশার লার্ভাও। ফলে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ১৬ জুলাই পর্যন্ত এই জেলায় ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে গত মে ও জুন এই দুই মাস ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এ বছর অন্যান্য উপজেলার থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে জুরাছড়ি উপজেলায়। বিশেষ করে মৈদং ইউনিয়নে আমতলা, ভুয়াতলীছড়া, জামেরছড়ি ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে গবাছড়ি, করইদিয়া, বগাখালী, দুমদুম্যা লাম্বাবাগছড়া, আদিয়াবছড়া, গ্রামের মানুষ অধিকহারে ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়া রোগে ১৭ হাজার ৪৫ জন, ২০১৮ সালে দুই হাজার ৯৯৩ জন, ২০১৯ সালে ছয় হাজার তিন জন, ২০২০ সালে এক হাজার ৩৭৭ জন, ২০২১ সালে এক হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছিল।
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর মার্চে ৫৫ জন, এপ্রিলে ৭৯ জন, মে মাসে ২৩৩ জন, জুনে ২৩৬ জনের দেহে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। যার মধ্যে জুনে দুমদুম্যা ইউনিয়নে ১৬৫ জনের দেহে এই রোগের জীবাণু শনাক্ত হয়।
দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবে এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ব্র্যাকসহ ইউনিয়ন পরিষদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘জুরাছড়িতে এ বছর ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। যেসব এলাকায় ম্যালেরিয়া প্রবণতা বেশি সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্র্যাকের কর্মীরা কাজ করছে। তবে দুর্গমতার কারণে কিছুটা সমস্যার মধ্য দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্র্যাক থেকে বিনামূল্যে যে মশারি দেওয়া হয় তার মেয়াদ থাকে তিন বছর। ২০২৩ সালটি তৃতীয় বছর হওয়ার কারণে মশারির কার্যকারিতা কমে গেছে। তাই ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা দুর্গম এলাকাগুলোতে বেড়েছে। এ বছর নতুন করে দুই হাজার ৩৫০টি মশারি বিতরণ করা হয়েছে।’
২০৩০ সালের মধ্যে রাঙ্গামাটিকে ম্যালেরিয়ামুক্ত জেলা ঘোষণা করার মিশন নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু পাশের দেশগুলোতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে তেমন কার্যক্রম না থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের।
তারা জানান, মশারি টানানোর বিষয়ে অনেকে আগ্রহ দেখায় না বলে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা এ বছর বেড়েছে। তবে এ বছর নতুন করে জেলায় সাড়ে ৩ লাখ মশারি বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করায় আক্রান্তের হার কমে আসবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিনোদ শেখর চাকমা সারাবাংলাকে জানান, এবার প্রথম ছয় মাসে জেলায় ম্যালেরিয়া রোগী বেড়ে গেছে। এর মধ্যে আবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু। এটা নিঃসন্দেহে একটা চিন্তার বিষয়।
রাঙ্গামাটি জেলার সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী সারাবাংলাকে বলেন, ‘হটস্পট এলাকাগুলো যদি বিবেচনায় নেওয়া হয় তবে দেখা যাবে সেগুলো ভারতের সীমান্তসংলগ্ন ও অত্যন্ত দুর্গম। স্বাস্থ্যকর্মীদের সেখানে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। পাহাড়ে ম্যালেরিয়া রোধের বড় প্রতিবন্ধকতা দুর্গমতা। এ অবস্থা পার্বত্য এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বেশি জরুরি। পাহাড়েও এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা আগামী এক মাস ফ্রিতে করা যাবে।’ জ্বর হলেই যেন সবাই রক্ত পরীক্ষা করায় এবং বাড়ির আশ-পাশ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বছর ব্যবধানে খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়া রোগী দ্বিগুণ
খাগড়াছড়িতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৪ জন। তবে চলতি মৌসুমে প্রথম ছয় মাসে ১২২ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র জুন মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৭১ জন। এছাড়া ২১ জনের মাঝে ডেঙ্গু সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে জুন মাসে। ১৬ জুলাই পর্যন্ত এই জেলায় সর্বমোট ৭২ জনের মাঝে ডেঙ্গু সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে চলতি বছরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াতে এখনও কেউ মারা যায়নি।
জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জেলা সদর, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা উপজেলা ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই মাটিরাঙ্গা পৌরসভা এবং গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার। ইতোমধ্যে মাটিরাঙ্গা পৌর এলাকাকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসার পাশাপাশি অনেকে যাচ্ছেন জেলা সদর হাসপাতাল এবং চট্টগ্রামে।
স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মাটিরাঙ্গায় বেড়েছে এসব রোগীর সংখ্যা। ময়লা ও আবর্জনা পরিষ্কার না করা এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ দশা। তারা স্থানীয় পৌর মেয়রদের কাছে মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র শামছুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। পৌর এলাকায় ইতোমধ্যে মশা নিধনে কাজ শুরু হয়েছে।’ স্থানীয় নাগরিককেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মিটন ত্রিপুরা বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে থেকে ঈদে আসার পর থেকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। আসার সময় তারা ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে এসেছে। মাটিরাঙ্গার চৌধুরীপাড়া, কাজীপাড়া এলাকাসহ আশপাশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।’
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে অধিকাংশ রোগী মাটিরাঙ্গা থেকে আসা। আমরা মনে করছি, মাটিরাঙ্গার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকে রোগ ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের সচেতন থাকতে হবে ও এলাকার আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে।’
মশার বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধন কার্যক্রম জোরালো করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। এর সঙ্গে নতুন করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছে। ঈদের পর থেকে জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত বেশি হচ্ছে। আমরা সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য কিট সরবরাহ করেছি। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। আক্রান্তদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। যতটুক জেনেছি, বাইরে থেকে যারা এসেছে তাদের মাঝে জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে বেশি।’
বান্দরবানে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি
খাগড়াছড়ি জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও বান্দরবানে এখন পর্যন্ত দু’জনের প্রাণ হারানোর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। জুনে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমা ও থানচি উপজেলার দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম গ্রামে আশঙ্কাজনক হারে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই জেলাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী জ্বর নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেই ম্যালেরিয়া রোগে শনাক্ত হচ্ছে।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় কোনো মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়েছিল ১৩ হাজার ৮১৮ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে দুই জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, গত জুনে জেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৯৩ জন। যার মধ্যে আলীকদম উপজেলায় ৪৩৫ জন, থানচিতে ৩৬৫, লামায় ২৮৬, রুমায় ২৫৭, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৭৬, রোয়াংছড়িতে ১০৩ এবং সদর উপজেলায় আক্রান্ত হন ৭১ জন।
এদিকে, ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিভাগ নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে উঠান বৈঠক, বিনামূল্যে কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের বিশেষ তদারকি অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, বান্দরবানে ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্তে পর্যাপ্ত কিট ও চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় ওষুধ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মজুদ রয়েছে। হঠাৎ বান্দরবানে ম্যালেরিয়া রোগী বাড়লেও গত বছরের চেয়ে এখনো কম আক্রান্ত হয়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবানের জনসাধারণকে নিরাপদে রাখা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য এ বছর বিনামূল্যে জেলার সাতটি উপজেলায় ৩ লাখ ৬২ হাজার ২১৭টি কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে।’
এদিকে, বান্দরবানে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম