ডেঙ্গু: চট্টগ্রামে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীসহ ২ জনের
১৭ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্র আছেন। এ নিয়ে গত সাড়ে ছয় মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জন এবং চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৩৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দু’জন হলেন-মো. রিয়াজুল ইসলাম আল্ভী (১৫) ও শারমিন হেনা রিতা (৪৫)। তারা দুজনই নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন।
জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে আলভী কাজেম আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ডেঙ্গু আক্রান্ত আলভীকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শারমিন হেনা রিতা নগরীর রহমান নগর মসজিদ গলির বাসিন্দা। তিনিও শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৮ জন শিশু, ৬ জন পুরুষ, একজন কিশোর ও তিনজন নারী।
চলতি বছরের শুরু থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট এক হাজার ৪৬৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসের ১৭ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৬ জন। জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুন মাসে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮০ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এক হাজার ৮৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন কিশোর ও আরেকজন নারী। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলেও আগে চিকিৎসা না নেওয়ায় ক্ষতিটা বেশি হচ্ছে। এসব রোগী একেবারে শেষমুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাই সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া জরুরি।’
সারাবাংলা/আইসি/এনইউ