Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের সাময়িক বন্ধ ঘোষণা রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৬

ঢাকা: ফের বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্ল্যান্ডফিল লিকেজ হওয়ায় রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কার্যত ওইদিন বেলা ১টা ২০ মিনিট থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রমতে, বাংলাদেশ- ভারতের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দু’টি ইউনিট রয়েছে। যার প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে। এটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর একই কারণে গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ হয়। পরে কয়লা সংকট কেটে গেলে গত ১৭ মে থেকে উৎপাদন শুরু করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। কিন্তু তখন দেখা দেয় নতুন সমস্যা। কারিগরি সমস্যার কারণে ক’দিন পর ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া, গ্ল্যান্ডফিল লিকেজের মতো সমস্যা সামনে আসায় গত দুই মাসে তিন থেকে চার বার বন্ধ করে রাখা হয় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন কারিগরি সমস্যা সারানোর কাজ চলছে। আশা করি দু/তিন দিনের মধ্যে ফের উৎপাদনে ফিরতে পারবে রামপাল।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর একটি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশ সমঝোতা স্মারকে সই করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি বিপিডিবি ও এনটিপিসি যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড- বিআইএফপিসিএল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালে।

বাস্তবায়নকারী কোম্পানি বিআইএফপিসিএলের তথ্যানুযায়ী, কাজ শুরুর তারিখ থেকে ৪১ মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার কথা থাকলে করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উৎপাদন শুরুর চিন্তা করা হয়। কিন্তু সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও কয়লার সংস্থান না হওয়ায় তা ফের পেছানো হয়। বারবার তারিখ পেছানোর পর গেল বছর ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

টপ নিউজ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর