স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
১৮ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫৩
ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় গৃহবধূ মৌসুমি বড়ুয়াকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী সাজু বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আর ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজু বড়ুয়া জামিনে ছিলেন। অসুস্থ থাকায় এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবারণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাজু বড়ুয়া ও মৌসুমি বড়ুয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকে মৌসুমির শ্বশুড় বাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছে। এরজন্য শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়। পরে সাজু তার শ্বশুড়ের কাছে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক চায়। শ্বশুড় দরিদ্র হওয়ায় তা দিতে ব্যর্থ হয়। ২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারি সকালের দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাজু তার স্ত্রীর গায়ের কাপড়ে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাউকে সেই আগুন নেভাতেও দেয় না। এতে মোসুমির শরীর ঝলসে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় মৌসুমির বাবা উত্তম বড়ুয়া ৩১ জানুয়ারি বাড্ডা থানায় প্রথমে যৌতুকেরর জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
২০০৮ সালের ২৯ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার নাইখাইন গ্রামের বাবু বিন্দু ভূষণ বড়ুয়ার দ্বিতীয় পুত্র দণ্ডিত সাজু বড়ুয়া।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ