কাঁচাপাট বেচাকেনা ও মজুদ রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ
১৮ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৬
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক
ঢাকা: অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট বেচাকেনা ও মজুদ রোধে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে সরকারের নগদ সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা, ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাষ্টিকের বস্তা ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোড়দার করবেন। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতি বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। পাট চাষিরা ভাল পাটের ভালো দাম পাবেন। কোনো কারণে যেন কাঁচাপাটের দাম অসহনীয় না হয় সেজন্য সর্বদা কাঁচাপাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
এদিকে বিজেএসএ প্রতিনিধিরা জানান, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাত অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোভিট-১৯ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ও পার্শ্ববতী দেশ সমূহের পাট কেন্দ্রীক নীতির কারণে পাট ও পাটপণ্যের রফতাানি বাণিজ্যেরে গতি হ্রাস পেয়েছে।
এ সময় সংসদ সদস্য ও বিজেএসএ’র চেয়ারম্যান শেখ কফিল উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, আকিজ জুট মিলস লি. চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিনসহ এসোসিয়েশনের নেতারাসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসজে/এনএস
