‘বিদেশিরা সংবিধান সম্মতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন’
১৮ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা না বলায় বিএনপি চরম হতাশায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ শুরুর আগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি লবিস্টের মাধ্যমে বিদেশি মুরব্বিদের দেশে ডেকে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল। কিন্তু বিদেশি প্রতিনিধি দলের কেউ আমাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তারা চেয়েছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সেটা সংবিধান সম্মতভাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং সেটা সংবিধান সম্মতভাবে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কথায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্তুষ্ট হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সন্তুষ্ট হয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আর আলোচনায় উপস্থাপন করেনি। এজন্য বিএনপি চরম হতাশায় ভুগছে। তারা তারুণ্যের সমাবেশ করছে অথচ সমাবেশে যারা উপস্থিত আছে তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে অথবা ৬০ বছরের বেশি। অকারণে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও দাতাসংস্থার পরামর্শ অবশ্যই শুনব। কিন্তু তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এদেশে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে সংবিধান সম্মতভাবে। মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি অসাংবিধানিক এবং এই ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোথাও নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। তাই আমাদেরও নির্বাচনী সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচনী সরকার গঠন করা হলে দেশে আরেকটি এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা চাই, দেশ চলবে আমাদের আইনে, আমাদের নিয়মে, এটাই শেষ কথা।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যাদের মুরব্বি মেনেছেন, তারা কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। আপনারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে তাহলে লাভ কী হলো? বারবার বলে আসছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে, তিনি দেশ থেকে পালাবেন কিন্তু ঘটনা ঘটছে উল্টো। আপনাদের তারেক জিয়াই সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। খালেদা জিয়াও দণ্ডিত হয়ে নিজের গৃহে আছেন, তাকে আমরা কারাগারে পাঠাইনি।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংসদ নোমান আল মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। সমাবেশ শেষে রেলস্টেশন চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস