বগুড়ায় টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ
১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:১৬
বগুড়া: বগুড়ায় পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়া ও বিএনপির ককটেলের শব্দে ইয়াকুবিয়া স্কুলের শতাধিক বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ৫৪ জনকে বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহরের অন্যান্য ক্লিনিক ও বাড়িতেও অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনার নেতৃত্বে একটি বিশাল পদযাত্রর মিছিল শহরের দিকে প্রবেশ করার উদ্দেশে ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মিছিলের পেছন থেকে ইটপাটকেল, লাঠি ও ককটেল ছুঁড়লে বিকট শব্দ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে ওই এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে। যা এক পর্যায়ে ইয়াকুবিয়া স্কুলে ঢুকে পড়ে। এতে রাস্তার ধারের শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ থাকে। শিক্ষার্থীরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে মালেকা ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবির বলেন, ‘প্রথমে আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের বাইরে নিয়ে আসি। পরে অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের অন্তত দেড়শ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে। তবে অনেকের বাবা-মা বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেছেন।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শফিক আমিন কাজল জানান, স্কুলের পাশের রাস্তায় টিয়ারশেল নিক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা ধোঁয়ায় বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেকের সাময়িকভাবে শ্বাসকষ্ট হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে ধোঁয়ার কারণে ভয় পেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে।
খবর পেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান জেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। পরে সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুও হাসপাতালে তাদের দেখতে যান।
সারাবাংলা/পিটিএম