পৃথক ঘটনায় প্রেমিক ও ধর্ষকের যাবজ্জীবন
১৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৪
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক আব্দুর রহমান এবং তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জনাকীর্ণ আদালতে আসামি আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে এবং অপর আসামি রবিউল ইসলামের অনুপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন।
এছাড়া প্রেমিক আব্দুর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ধর্ষক রবিউল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আলিম আল রাজি এবং নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমজি আযম পৃথক দু’টি ঘটনায় এ রায় দেন।
আসামি আব্দুর রহমান (২০) কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে এবং আসামি রবিউল ইসলাম (৩৫) আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি আব্দুর রহমানের সঙ্গে জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে কলারোয়া গার্লস পাইলট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা হোসেন সেঁজুতির (১৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখে রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরদিন ২৮ মার্চ সকালে সেঁজুতির মরদেহ বাড়ির পাশে মাঠ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সেঁজুতির মা লায়লা পারভীন কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার আসামি আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অন্যদিকে, ২০১০ সালে ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে একই এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম। ধর্ষণের পর মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পরলে ওই বছরের ২৯ জুন মেয়ের বাবা আদালতে ধর্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ দু’টি রায়ের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
সারাবাংলা/এমও