Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভোট চুরি করতেই পুলিশের পোস্টিং হচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৫

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ডিসির পোস্টিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আজকে পুলিশের পোস্টিং হচ্ছে, ডিসির পোস্টিং হচ্ছে, টিএনওর পোস্টিং হচ্ছে। কেন হচ্ছে? আবার ভোট চুরি করতে। জনগণের ভোটের অধিকার হনন করতে। যাদের পোস্টিং করা হচ্ছে, তারা তাদের দলীয় মানুষ। ভুলে যান। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের আর ভোট চুরি করতে দেবে না।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর মোহাম্মদ সড়কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর নূর মোহাম্মদ সড়ক থেকে শুরু নিউ মার্কেট, কদমতলী হয়ে দেওয়ানহাট গিয়ে বিএনপির পদযাত্রা শেষ হয়।

আওয়ামী লীগের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, তার দল ও দলের ভোট সহযোগীদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। এমন কম্পন শুরু হয়েছে যে তারা আওয়ামী পুলিশ সন্ত্রাসী, তাদের দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের মিছিল মিটিংয়ে হামলা চালাচ্ছে।’

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

‘লক্ষীপুরে আমাদের এক ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। কিশোরগঞ্জে আক্রমণ করেছে। অনেক নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। ফেনীতে আক্রমণ হয়েছে। খাগড়াছড়িতে আক্রমণ করেছে। কোনো লাভ হয়েছে? খাগড়াছড়িতে তারা পালিয়েছে। গতকাল (১৮ জুলাই) মিরপুরে পদযাত্রায় আমি ছিলাম। সেখানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। তারা পালিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সুশৃঙ্খল আন্দোলন। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। কারা সহিংস হবে? যারা সুশৃঙ্খল না। সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। আমরা সুশৃঙ্খল। তাই আমাদের সহিংস হওয়ার দরকার নেই।’

‘তাদের নির্ভরশীলতা আওয়ামী পুলিশের উপর, লুটেরা ব্যবসায়ীদের ওপর। আমাদের তাদের দরকার নেই। আমাদের দরকার বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছে। জনগণ এই ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয়, সারাদেশের ফ্যাসিস্ট বিরোধী গণতন্ত্রকামী মানুষ, বিশ্বের বিভিন্ন সরকার ও ব্যক্তি গণতন্ত্র রক্ষা করার এই আন্দোলনকে সমর্থন দেয়। তারা বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, বাকস্বাধীনতা চায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাই।’

‘এখানে সব পরিষ্কার। বার্তা পরিষ্কার। বার্তা যদি তাদের কাছে পরিষ্কার না হয় তাহলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে তাদের পতন ঘটাতে হবে।’

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। নতুবা আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে হবে। দরকার হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। নতুবা নির্বাচনের পর পরিবর্তন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।’

শেখ হাসিনা বিপদে আছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের লাখ লাখ জনতা এই পদযাত্রায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দিয়ে পতন করতে হবে। বিএনপি এখানে দাঁড়িয়েছে কারণ আমরা সুশৃঙ্খল ছিলাম। এজন্য শেখ হাসিনা বিপদে আছে। উশৃঙ্খল আন্দোলন দিয়ে দাবি আদায় করা যায় না। এক দফার দাবি শেখ হাসিনার বিদায়ের ডাক এসেছে।’

নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সুশীল বড়ুয়া, উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এনামুল হক এনাম।

সারাবাংলা/আইসি/এনএস

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর