ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভোট ডাকাত, দুর্নীতিবাজ সরকারকে বিদায় দেওয়া হবে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এই সরকার এখন দিশেহারা। এজন্য তারা বিরোধীদের ওপর হামলা করছে। আগামীতে এদের প্রতিটি অপরাধের বিচার করা হবে।’
এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে বুধবার (১৯ জুলাই) পুরানা পল্টন থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা মতিঝিল-আরামবাগ হয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে গিয়ে শেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এক দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করে তারা।
ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক বিষয়ক ফরিদুল হক।
সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। বিরোধীদের তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের সমর্থন না থাকায় সন্ত্রাসকে তারা প্রধান অবলম্বন করেছে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হামলা আর গুলি চালিয়ে মানুষকে তারা ভয় দেখাতে চায়; মানুষ যাতে রাস্তায় না নামে। কিন্তু এবার মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাবেনা। এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নামছে; এই মানুষেরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সরকারকে বিদায় দেবে।‘
সমাবেশ পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
পদযাত্রায় অংশ নেন- মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূইয়াসহ অনেকে।