Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০৮, আক্রান্ত ১৯ হাজার ৫৬৯

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ জুলাই ২০২৩ ২২:৩৮

ঢাকা: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বুধবার (১৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে মারা গেছে ৯ জন। এ নিয়ে জুলাই মাসে প্রথম ২০ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০৮ জন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরিসংখ্যান জানা গেছে।

দেশে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশে ২৭ হাজার ৫৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মাঝে জুলাই মাসের প্রথম ২০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। এর মাঝে শুধুমাত্র মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) থেকে বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, দেশে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে বছর দেশে শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। বাংলাদেশে এর আগে এত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। এমনকি সে বছর প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল ডেঙ্গু। ভয়াবহ সে সময়ে সারা দেশে মারাও যায় অনেক। অনেকেই ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যায়। শেষমেশ ২৬৬ জন ডেঙ্গু সন্দেহে মারা গেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে বলা হয়। কিন্তু মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর আইসিডিডিআরবি জানায়, এর মধ্যে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। সেটিই ছিল দেশে এক বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু।

পরবর্তীতে, ২০২১ সালেও মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যু শতাধিক বলে রেকর্ড হয়। সে বছর ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। মৃত্যুহার শনাক্তের তুলনায় সেবার বেশিই ছিল।

বিজ্ঞাপন

তবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে গত বছর। ৬২ হাজার ৩৮২ জন শনাক্তের পাশাপাশি ২০২২ সালে দেশে ডেঙ্গুতে ২৮১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়।

সেই রেকর্ড ছাড়াতে পারে চলতি বছর। কেননা এরই মধ্যে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, জুলাই মাসের আরও বাকি আছে প্রায় ১০ দিন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি এবার ডেঙ্গুতে যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তারা যে শুধু দিনের বেলা মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে এমন নয়। এবার মশা রাতের বেলাও কামড়াচ্ছে। আর তাই যেভাবে সংক্রমন শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বোঝা যাচ্ছে না আর তাই এখনই এখন শনাক্তের যে সংখ্যা, তাতে এই ১৩ দিনে আরও বেশ কয়েক হাজার রোগী পাওয়া যেতে পারে।

আর তাই বর্তমান সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বিত কমিটি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করা জরুরি হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জুলাই মাসেই ছাড়িয়েছে অতীতের রেকর্ড

চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকেই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। শুধু আক্রান্তই না, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মারা যান ৪৭ জন। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু সংক্রমণ শনাক্তের পরে প্রথম ছয় মাসে এত মৃত্যু কখনও দেখা যায়নি।

তবে জুলাই মাসে ছাড়িয়ে যায় সেই সব পরিসংখ্যান।

শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয় বরং দেশের অন্যান্য স্থানেও চলতি বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে চিকিৎসা নিতে।

২০ জুলাই পর্যন্ত দেশে ২৭ হাজার ৫৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পরে প্রথম শাত মাসে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের তথ্য।

বিজ্ঞাপন

আর তাই চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই ডেঙ্গুর ঝুঁকি

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, পুরো বাংলাদেশেই এখন ডেঙ্গুর হটস্পট। আমাদের মনে রাখতে হবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সামনে যেহেতু বৃষ্টি হবে, তাই আগেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা জরুরি।’

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘এরইমধ্যে পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। গাইডলাইন অনুযায়ীই সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লেটলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে করণীয় কী হবে, প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। রোগী বাড়লে অতিরিক্ত আবাসিক চিকিৎসক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে, যেন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত না হয়।’

হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. আহমেদুল কবীর।

সক্রিয় ডেঙ্গুর একাধিক ধরন

দেশে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নমুনা বিশ্লেষণ করে একাধিক ধরনের উপস্থিতি মিলেছে। এর মাঝে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণা বলছে, এবারই প্রথম ডেন-টু ধরনের ডেঙ্গুর বিস্তার বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বছরের ডেঙ্গু রোগীদের ৫১ ভাগই ডেন-টুতে আক্রান্ত।

আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানান, ডেঙ্গুর সেরোটাইপ বা ধরন চারটি। এবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের ধরন জানতে রাজধানীর ৩০০ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। নমুনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫১ দশমিক ৫ শতাংশের সংক্রমণ ডেন-২–এ এবং ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশের সংক্রমণ ডেন-৩–এ। বাকি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ রোগী একই সঙ্গে ডেন-২ ও ডেন-৩–এ আক্রান্ত। ডেন ওয়ান ও ফোরে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

একাধিক ধরন থাকা বিপজ্জনক

ডেঙ্গুর একাধিক ধরন থাকায় চলতি মৌসুমে রোগীর জটিলতা ও মৃত্যু বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৃত্যুহার বেশি। ডেন টু-তে আক্রান্তদের জটিলতা বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম ও দীর্ঘ মেয়াদী রোগে যারা আক্রান্ত তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।

পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?

কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, হটস্পট ব্যবস্থায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ডেঙ্গু রোগী যেসব এলাকা থেকে বেশি আসে, সেখানে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। দরকার হলে সেখানে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। তা হলে এক রোগী থেকে অন্য রোগী আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। যদি এমনটা না হয় তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার সব জায়গায় ডেঙ্গু রোগীর হার সমান নয়। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি, সেখানে মশক নিধনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মাইকিং, জনসচেতনতা, ওষুধ ছিটানো— সবকিছু একসঙ্গে করতে হবে। এমনটা না করতে পারায় এখন পর্যন্ত জ্যামিতিক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু।’

অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমরা একটা জরিপ করে দেখেছি যে, এদেশের মানুষ এডিস মশা কীভাবে হয়, প্রজননস্থল, বদ্ধ, স্বচ্ছ পানি- এই সবকিছুই জানে। তারপরও তারা সচেতন হন না। এটি একটা মানসিকতা। এর পরিবর্তন দরকার। আর সিটি করপোরেশন যতই বলুক তারা মশার উৎস ধ্বংস করছে। কিন্তু উড়ন্ত এডিস মশা থেকে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন কিন্তু ডেঙ্গু শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়েছে। আর তাই সারা দেশেই স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করার জন্য। নতুবা পরিস্থিতি আসলে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এখন থেকেই আমাদের মশার প্রজনন ঠেকাতে হবে। মশার প্রজনন যদি আমার মৌসুমের শুরুতেই ঠেকাতে পারি, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সম্পৃক্ত হতে হবে। বাসা বাড়ি বা আশপাশে যেন পানি জমা না থাকে, পানি জমার মতো কোনো পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, কোথাও যেন পরিত্যক্ত টায়ার বা কোনো ধরনের পাত্র পড়ে না থাকে, এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।’

ধ্বংস করতে হবে মশার প্রজননক্ষেত্র

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ডেঙ্গু যখন কোনো কমিউনিটিতে প্রবেশ করে, তখন তাকে একেবারে নির্মূল করা যায় না। যেহেতু সামনে আরও নগরায়ন হবে, আরো উন্নয়ন হবে, আমাদের আগেভাগে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু যে দেশে ঢোকে, সেখান থেকে বের হয় না। কিন্তু একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের দেশে দুই যুগের বেশি সময় ধরে এর নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজ করা হয়নি। ২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এর নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আর তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে।’

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ড. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ডেঙ্গু এবার যেভাবে ইতোমধ্যেই ছড়িয়েছে তা আতঙ্কজনক। কারণ সারাদেশেই ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। বর্তমান সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বিত কমিটি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করা জরুরি হয়ে পড়ছে। ঠিক তেমনভাবে যেমনটা আমাদের দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সময় করা হয়েছিল। নইলে পরিস্থিতি আসলে কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা কষ্টকর। যেভাবে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি কিন্তু ভয়ঙ্করই হয়ে উঠছে দিনের পর দিন।

ড. মোশতাক বলেন, ‘কমিউনিটিকে জানানো বা সম্পৃক্ত না করলে এই কাজ কেবল সিটি করপোরেশন কর্মীদের দ্বারা কোনোভাবে সম্ভব হবে না। সুতরাং এখানে সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি হাজার শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবককে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

এডিস মশা ডেঙ্গু ডেঙ্গুর মৌসুম

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর