ঢাকা: ‘স্বাধীন বাংলাদেশে শকুনের মতো হামলা কেন?’— জানতে চেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির পদযাত্রায় সরকারের নির্দেশে হামলা করে লক্ষ্মীপুরে কৃষকদলের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে শকুনের মতো হামলা কেন? বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপরও শকুনের চোখ পড়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও একটি নির্বাচন করতে চায় সরকার। কিন্তু তাদের চক্রান্ত এবার সফল হবে না।’
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে আহমেদ আজম বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বিএনপির ১৯ জন লোককে হত্যা করেছে সরকার। গত দশ বছরে লাখ লাখ নেতাকর্মীরের নামে মামলা দিয়েছে। কিন্ত আন্দোলন থামাতে পারেনি। দিন দিন রাজপথে নেতাকর্মীরা বাড়ছে। যত জুলুম নির্যাতন মামলা হামলা খুন করুক না কেন আন্দোলন দমাতে পারবে না। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিশ্বব্যাপী আজ প্রত্যাখাত, গলাবাজি দিয়ে সরকারের অবৈধ সত্তাকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের তরী ডুবন্ত। এটিকে আর টেনে তোলা যাবে না। ক্ষমতা ধরে রাখার আর কোনো কৌশল তাদের কাজে আসবে না।’
তিনি বলেন, ‘কথা পরিষ্কার, আগামী নির্বাচন নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়, এটিই বাংলাদেশের জনগণের ভাষা। এবার এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই সময় থাকতে এই ফ্যাসিবাদী সরকার সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটা জনগণের দাবি।’
বাংলাদেশ ইয়ুধ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ (ভিপি হারুন), কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক সাহা আব্দুল আল বাকি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের সহকারী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।