আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ গ্রেফতার ৬
২২ জুলাই ২০২৩ ১৩:৪৮
কক্সবাজার: কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ মোহাম্মদসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া-শ্যামলাপুর এলাকার গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলভার, একটি শটগান, চারটি দেশীয় এলজি, তিনটি দেশীয় রামদা ও গোলাবারুদ। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৭০ হাজার টাকা।
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন, আরসা সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জোহার (৩০), মোঃ ফারুক হোরেস (২৩), মনির আহাম্মদ (৩৬), নূর ইসলাম (২৯) ও মোঃ ইয়াছিন (২১)।
কক্সবাজারে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মইন বলেন, হাফেজ নুর মোহাম্মদ কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের সামরিক কমান্ডার হিসেবে আরসার নেতৃত্ব দিত। তার নেতৃত্বে আরসার ৩০-৩৫ জন সদস্য কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করত। গত রাতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে টেকনাফের বাহারছড়া-শ্যামলাপুরের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব।
খন্দকার আল মইন জানান, ২০২২ সালের নভেম্বরে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় হামলায় ডিজিএফআই কর্মকর্তা, বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি নিহতের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন গ্রেফতার হওয়া আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদ।
র্যাব জানিয়েছে, নুর মোহাম্মদ কুংফুতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত ও বিস্ফোরক তৈরিতে পারদর্শী। তিনি আরসার অন্যান্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিত। ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছিল।
সারাবাংলা/আইই