ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২৩ জুলাই ২০২৩ ১৭:২১
ঢাকা: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকার ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ইনস্পেক্টর জেনারেলকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।
বিচার শুরু হওয়া অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
পরে ওই মামলার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। তারপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করা হলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট সেই রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে ড. ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এবং যা গত ৮ মে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর গত ৬ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ