সিগারেট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে গলা কেটে হত্যা, কিশোর আটক
২৩ জুলাই ২০২৩ ২১:৩১
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদরে ভাড়া বাড়ি থেকে এক কিশোরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চরমুক্তারপুর মিরেশ্বরাই এলাকার কামাল দেওয়ানের বাড়ির টিনের ঘর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও সিআইডি। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদ (১৫) নামের ওই ঘরের ভাড়াটিয়া এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে সাজ্জাদ বটি দিয়ে গলা কেটে ওই নিহত কিশোরকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত কিশোর মুক্তারপুর এলাকার মদিনার ড্রাইং এন্ড প্রিন্টিং নামের একটি কারখানার শ্রমিক। তবে তার নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি মুক্তারপুর এলাকার কামলা দেওয়ানের বাড়ির একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে সাজ্জাদসহ ৪ জন রং মিস্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জাহাঙ্গীর নামের এক ঠিকাদার। রোববার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরুন নেছা নামের এক প্রতিবেশী নারীর বাড়ি থেকে বটি নিয়ে আসে সাজ্জাদ। সকাল ৯টার দিকে ওইঘর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে বাইরে আসতে দেখে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের পা দেখতে পায়। এ সময় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ও সিআইডি এসে ঘরে ঢুকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে লাশ পাওয়ার খবরে ঘরের ভাড়াটিয়া অপর তিন ভাড়াটিয়া নজরুল, জহিরুল ও ইমরান শেখ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলেও নিখোঁজ ছিল সাজ্জাদ। কয়েকঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে অবস্থানকালে স্থানীয়রা আটক করে সাজ্জাদকে। এ সময় জানতে চাইলে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা জানায় সে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
প্রতিবেশী শাহ সিমেন্ট কারখানার কর্মচারী মেহেরুন নেছা বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাজ্জাদ আমার ঘর থেকে বটি চেয়ে নেয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শুনি ওদের ঘরে একটি লাশ পাওয়া গেছে, আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম সেটি সাজ্জাদের লাশ। পুলিশ এসে অন্য আরেক কিশোরের লাশ বের করে।’
স্থানীয় যুবক নিশাদ দেওয়ান বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে কার্তিক আমি ঘাস কাটতে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি গাছের নিচে বসেছিল। ওর নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করার পর ঠিকঠাক মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তখনই আমার সন্দেহ হয় এরপর সবাই মিলে ধরলে হত্যার কথা স্বীকার করে। সিগারেট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ও ওই কিশোরকে হত্যা করেছে।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহত এর মড়দহ উদ্ধার করা হয়। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তবে অল্প কয়েকদিন ধরে পরিচয় হওয়ায় সাজ্জাদ নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও ওসি জানান।
সারাবাংলা/একে