Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিচারককে হাজিরা থেকে অব্যাহতি, আসতে হবে পুলিশ কর্মকর্তাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন প্রাপ্তির পরও দুই আসামিকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার পর শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজিএম) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তলব করা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পরবর্তী শুনানির দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত।

দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন-শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহ্ মুনজুরুল হক। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান মিয়া।

এর আগে এ ঘটনায় আদালত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। ওই আসামিদের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপনের পর এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে পুলিশ প্রধান ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

গত ১৩ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই আবু জাফর ঠান্ডু জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর