Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্বাধীনতার ইতিহাসে ইসহাক মিয়ার নাম লেখা আছে’

সারাবাংলা ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইসহাক মিয়ার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রয়াত এই রাজনীতিককে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এবং দলের ও দেশ-জাতির সংকটে তার ভূমিকা স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে নগরীর আগ্রাবাদ হাজীপাড়ায় প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নাজমুল হক ডিউক, শাহেদ ইকবাল বাবু, গাজী মো. শফিউল আজিম, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার সবুজ, আবদুস সালাম মাসুম, আবদুল মান্নান এবং চসিকের উপ-সচিব আশেক রসুল টিপু মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইসহাক মিয়া। বঙ্গবন্ধুর আহবানে তিনি চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ইসহাক মিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং থাকবে।’

এরপর প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সৎ, নির্লোভ, নীতিবান, সাহসী ও নির্ভীক রাজনীতিকের অভাব জাতীয় সংকট তৈরি করছে। ইসহাক মিয়ার মতো পরিশুদ্ধ রাজনীতিকরাই আমাদের চেতনার বাতিঘর। ইসহাক মিয়া রাজনীতিতে আসার শুরুতেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও জনপ্রতিনিধি ছিলেন। রাজনীতিতে এসে তিনি অর্থবিত্তের বৈভব বাড়াননি, বরং হারিয়েছেন। তিনি দেয়ার মানসিকতা নিয়েই রাজনীতি শুরু করেছিলেন।’

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ইসহাক মিয়া অনেক সংকটে ও বিপর্যয়ে ছিলেন আমাদের পরামর্শদাতা। আজ তার মতো সুদক্ষ পরামর্শদাতার অভাব রয়েছে। আজ যে অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধাক্কা দিতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে ইসহাক মিয়ার মতো কান্ডারীই যথেষ্ট ছিলেন।’

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু, প্রয়াতের সন্তান মো. রিদুয়ান আহমেদ।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া ১৯৭০ সালের পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালের সংসদ সদস্য হিসেবে ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের প্রশাসক নিযুক্ত হন। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর