মশা মারতে ১২২ কোটি টাকা খরচ করবে ডিএনসিসি
২৪ জুলাই ২০২৩ ২২:০০
ঢাকা: নতুন অর্থবছরে মশা মারার কাজে ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা, যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারকাজে খরচ হবে এই টাকা।
সোমবার (২৪ জুলাই) গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বরাদ্দের এ বিষয়টি জানানো হয়।
ঢাকা উত্তর সিটির গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ বাবদ মোট ১১১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয় হয় ৭৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয়ের তুলনায় এবারের বরাদ্দ প্রায় দেড়গুণ বেশি।
এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মধ্যে মশা নিধনকাজ পরিচালনার জন্য ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মশার ওষুধ কেনার পেছনেই ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। আর ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োজিত মশককর্মীদের দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায়।
এ ছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে এ খাতে খরচ বৃদ্ধির হার শতভাগ। ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারণায়। সব মিলিয়ে মশা মারতে খরচ হবে ১২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগার হুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছে ২ কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি নতুন অর্থবছরের মশা নিয়ন্ত্রণে যে বরাদ্দ রেখেছে, তা মোট বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ঢাকা উত্তর সিটি নতুন অর্থবছরের মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটির সংশোধিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৯৫০ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা।
বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যর্থতা কোথায়, জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমরা বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছি। মশক নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্যও বাজেটে বরাদ্দ আছে। আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা এত কিছু করছি, এরপরও মশা কেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমরাও জানি না। আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, আসলে সমস্যাটা কোথায়?
মেয়র বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মশার প্রজাতি, ব্যবহৃত ওষুধ—এসব নিয়ে গবেষণার জন্য সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সাক্ষর হয়েছে। আশা করছি গবেষণার মাধ্যমে আমরা আরও ভালো কিছু পাব।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুতই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের প্রধান করে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/আরএফ/একে