রাজপথে কোনো আপস নয়: ওবায়দুল কাদের
২৫ জুলাই ২০২৩ ১৩:১৩
ঢাকা: দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের আর হেলায়-ফেলায় সময় কাটানোর সুযোগ নেই। এখন থেকে আর নিস্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। সতর্ক থাকতে হবে আপ টু ইলেকশন। রাজপথে কোনো আপস নয়।’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংঘাত আমরা করবো না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকবো। সংঘাত যারা করতে আসছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা সংঘাত করব না কিন্তু সংঘাতটা প্রতিহত করতে হবে।’
শোকের মাসের কর্মসূচিকেও বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি উল্লেখ করার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ আমরা তো বলেছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কম্বোডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। কম্বোডিয়ার বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানে যদি বিরোধী দল অংশ না নেয় সেটা কার অপরাধ? এইটা দেখে অনেকের আবারও যাদের এতদিন মুখ চোখ শুকিয়ে গিয়েছিল এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় ভালো মানুষ অথচ মুখে এত বিষ? কি ভাষায় বক্তৃতা দেয়?’
দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে, এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে। সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, তারা অস্ত্র কিনছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের একটা অস্ত্র সরবরাহ ঘাঁটি। বিভিন্নভাবে খবর আসছে। কারণ তারা মনে করে জনশক্তি কোনো শক্তি নয়, অস্ত্র শক্তি হচ্ছে আসল শক্তি।’ এসময় নেতাকর্মীদের চোখ কান খোলা রাখার আহ্বান এবং সবাইকে প্রস্তুত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করব। আর ছাড় নয়। এই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এদের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিরাপদ নয়।’
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমও