এফএও’র দফতরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’ উদ্বোধন
২৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫১
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দফতরে ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (জুলাই ২৪) স্থানীয় সময় বিকেলে রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরে ডি-ভবনের দ্বিতীয় ফ্লোরে এই কক্ষটির উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় এফএও’র মহাপরিচালক কিউ দোঙ্গিউ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতে ‘সবুজ বিপ্লবের’ সূচনা করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই কক্ষটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরের ভেতরে এক খণ্ড বাংলাদেশ পেয়েছে। কক্ষটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য এফএও মহাপরিচালক ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদস্য হয়।
বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত করা বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মধ্যেকার অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবেলায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্ত করা আমার জীবনের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে প্রদর্শিত বাংলাদেশের অর্জনগুলো দেখার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব বাংলাদেশের উদাহরণ থেকে অনুপ্রেরণা নেবে।
‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ কক্ষটিতে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে ২০২০-২১ সালে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সময় গিনেস বুকে রেকর্ড করা ধানক্ষেত্রে চিত্রিত ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্প কর্মটির একটি ছবি প্রদর্শন করা আছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস