Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, ভিশনারি নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ে ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো এক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ। সজীব ওয়াজেদ জয় এই তারুণ্যের উদ্যমতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তরুণদের স্বপ্ন দেখানো ও তা বাস্তবায়নে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে ও এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।’

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র এবং সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সব মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়ত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য। তিনি কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্যদিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে ১৩ হাজার ‍তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গভর্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণ ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে। আইসিটিখাতে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার- যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ে ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।’

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সকল সদস্য মেধাবী ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম এবং তাদের সাধারণ জীবনযাপনের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়। বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা সকলে দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যান।’

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু পরিবারের গর্বিত সদস্য সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি, তরুণ সমাজের আইকন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য-দক্ষ-দেশপ্রেমিক-কর্মবীর সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

ওবায়দুল কাদের সজীব ওয়াজেদ জয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর