বাংলাদেশে আসতে চায় স্টারলিংক
২৮ জুলাই ২০২৩ ১৭:৫৪
ঢাকা: ইলন মাস্কের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে চায়।
বিষয়টি সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছে একটি ডিজিটাল উপস্থাপনা পেশ করে প্রতিষ্ঠানটি। স্টারলিংকের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে এই উপস্থাপনা পেশ করে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির কমিশনারগণ এবং মহাপরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মুঠোফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেবলনির্ভর হলেও স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়। স্টারলিংক এলে বিরূপ আবহাওয়ায় কতটা কাজ করবে, ডিভাইসগুলোর চুরি রোধ, সেবার বিনিময়ে ডলারের পেমেন্টের বিষয়গুলো কী হতে পারে—সেসব বিষয় উপস্থাপনায় উঠে আসে। পাশাপাশি জননিরাপত্তার কারণে আইনি নজরদারির বিষয়েও আলোচনা হয়।
ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে কী যাচ্ছে, তাতে সরকারের নজর রাখার বিষয় ইত্যাদি উপস্থাপনাকালে উঠে আসে। দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সংযোগগুলোর গেটওয়েতে সরকারের নজরদারি প্রযুক্তি বসান থাকে। জাতীয় স্বার্থে সরকারের এই নজরদারির বিষয়, দেশের আইন, উদ্দেশ্যেসহ ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপনকালে উঠে আসে।
স্টারলিংককে বাংলাদেশে আসতে টেলিযোগাযোগখাতের নিয়ন্ত্রণকারী বিটিআরসির লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এই ক্ষেত্রে আইনি নজরদারিতে প্রযুক্তিগত ও নীতিগত বিষয় রয়েছে। এছাড়াও যেসব অঞ্চলের জন্য এই সেবা, সেখানকার মানুষের খরচ বহনের সক্ষমতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসহ ইত্যাদি বিষয় জড়িত। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট কোম্পানিরই সক্ষমতা আছে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার। স্টারলিংক এলে কী উপকার হবে, স্টারলিংকের সেবা দেশের বিদ্যমান কাঠামোকে কতটা চ্যালেঞ্জ করবে এগুলোও বিবেচ্য বিষয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই