Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজনের প্রাণহানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৮

ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবক মারা গেছেন।  আহত হয়েছেন যুবলীগ কর্মীসহ চারজন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশে রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রেজাউল করিম। বাবার নাম আব্দুস সাত্তার, মায়ের নাম রেনুজা বেগম। গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা থানার নারায়নখোলা পশ্চিম গ্রামে।

পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মৃত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার নাম রেজাউল করিম। তবে তার কোনো আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, ওই যুবকের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই মোবাইল সিমের মাধ্যমে পরিচয় জানা যায়। তবে বিস্তারিত পরিচয়ের জন্য সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিট আঙুলের ছাপ নিয়েছে।

আহতরা হলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার যুবলীগ কর্মী নোমান হোসেন রনি (৩২), দিনমজুর মোকাশ্বের (২৩), রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলাম (১৮) ও স্কুল শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন (১৬)।

হাসপাতালে আহত রনির সঙ্গে থাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হাসান বিপ্লব জানান, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ সমর্থক। নেতাকর্মী নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসেছিলেন। সমাবেশ শেষ করে সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের পথে রওনা হন। গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে এলে তখন পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদেরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।

পরে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

তিনি জানান, সমাবেশে কামরুল ইসলামের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই যুবকের বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাকি চারজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদেরকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

সারাবাংলা/ইউজে/একে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর