Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা কার্যকরের আহবান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৭

৪ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব, যা আমাদের দেশের গবেষকরাই গবেষণা করে বের করেছেন। এখন জাতীয় পর্যায়ে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার সময় এসেছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে একটি জাতীয় পর্যায়ের কর্মপন্থা (ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি) তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছি আমরা, যা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব।

‘পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা’— শিরোনামে এই সেমিনারটি আয়োজন করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইপিআরবি’র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর অধ্যাপক একেএম ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করছে সিআইপিআরবি। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, (১) পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে একটি কাজ করবো, (২) একটি কাজের উন্নয়ন করবো এবং (৩) একটি কাজের সাথে যুক্ত হবো।

সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইপিআরবি’র ইন্টারন্যাশনাল ড্রাউনিং প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ডিভিশনের ডাইরেক্টর ড. আমিনুর রহমান।

বাংলাদেশের পানিতে ডুবে মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরে সিআইপিআরবি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আমিনুর রহমান বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এরমধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই প্রতিটি জীবনই অপার সম্ভাবনাময় এবং এই অনাকাংখিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এই মৃত্যু প্রতিরোধের গুরুত্ব বিবেচনা করে, ২৫ শে জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। এরই ধারাবাহিকতায়, ২৯ মে ২০২৩ তারিখে, ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলি প্রথম বারের মত পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধকে রেজ্যুলেশন হিসাবে গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো: আবুল ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, ইউনিসেফের বাংলাদেশ শাখার চাইল্ড প্রোটেকশন প্রধান নাটালি ম্যাককুয়েলি ও অন্যান্যরা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়কে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

বক্তারা বলেন, অনেক সময় এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে নথিভুক্ত করা হয়। যার ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা দৃষ্টিগোচর হয়না। এজন্য পানিতে ডুবে মৃত্যুকে আলাদা ভাবে বিবেচনা করার গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও, পানিতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া। এজন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ট্রেনিংয়ের আওতায় আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

সারাবাংলা/এসবি

পানিতে ডুবে মৃত্যু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুমৃত্যু সিআইপিআরবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর