Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবস্থান কর্মসূচি অবৈধ, তাই বাধা: পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩৯

ঢাকা: ২৮ জুলাই রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও প্রবেশ মুখে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন রাজধানী ঢাকার সকল প্রবেশমুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ডিএমপির কাছ থেকে কর্মসূচি পালনের কোনো অনুমতি নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা অবনতির গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও জনদুর্ভোগের বিষয় বিবেচনায় সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান কর্মসূচি পালনে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হলো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সারাবাংলাকে বলেন, দুই দল একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি ডাকায় ব্যাপক মারামারি, প্রাণহানি হতে পারে-এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়া যায়। জনগণের জানমাল নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কমিশনার বলেন, ঢাকায় যে কোনো দল সমাবেশ করতে গেলে ডিএমপির অনুমতি নিতে হয়। আজকের অবস্থান কর্মসূচির জন্য কেউই অনুমতি নেয়নি। তাই আজকের অবস্থান কর্মসূচি অবৈধ। এই অবৈধ গণজমায়েত যেকোনো মূল্যে পুলিশ করতে দেবে না।

এদিকে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়েছে পুলিশ। বিএনপির অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তার মাথা ফেটে গেছে। তাকে আটক করে থানায় নেওয়ার পর ডিবিতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নয়াবাজারে উপস্থিত পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের নয়, অন্য জায়গা থেকে ছুটে আসা ইটের টুকরোর আঘাতে গয়েশ্বরের মাথা থেকে রক্ত পড়েছে। আর পুলিশ পিটিয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়। পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাই তাকে লাঠি দিয়ে একটি বাড়ি দিয়েছে।

লালবাগ থানার ডিসি বলেন, এটি অবৈধ অবস্থান কর্মসূচি। ডিএমপি থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছি না। এ কারণে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মেরেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আমরাও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি।

অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিএনপি, যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে ঠিকানা পরিবহন ও তিশা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। বিএনপি ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে।

সারাবাংলা/ইউজে/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর