ম্যানহোলে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ম্যানহোলে নেমে ময়লা পরিষ্কার করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে আকান্ত হয়ে সাইফুল ইসলাম (৫০) ও আল আমিন (৩৫) নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারা ওয়াসায় সুইপারের কাজ করতেন।

শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সায়দাবাদ ওয়াসা রোড মাদ্রাসা গলিতে ম্যানহোলে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের পোস্তগোলা স্টেশনের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সায়দাবাদ ওয়াসা রোড মাদ্রাসা গলিতে ম্যানগোলের ভিতর থেকে তাদের দুইজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ম্যানহোলের বিষাক্ত গ্যাসে তাদের মৃত্যৃ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাদের ঠিকাদার মো. কাইয়ুম দাবি করেন, তিনি চুক্তিতে ওয়াসার বিভিন্ন ময়লা পরিষ্কারের কাজ নেন। আর দিনমজুরের মাধ্যমে সুইপার দিয়ে সেই কাজ করান। সকালে ছয়জন সুইপার নিয়ে তারা সেখানে কাজে যান। প্রথমে ম্যানহোলের ঢাকনাটি আড়াই ঘণ্টা খুলে রাখেন যাতে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে যায়। এরপর সাইফুল প্রথমে ম্যানহোলের ভেতরে নামেন। সেখানে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসার জন্য নাকে-মুখে গামছা বেঁধে আলামিন সেখানে নামেন। নামার পর সেও অসুস্থ হয়ে যায়। ঘটনার ভয়াবহতা টের পেয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঢাকনা থাকায় ম্যানহলের ভেতরে সাধারণত অ্যামুনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সসাইড গ্যাস জমে থাকে। সেখানে নেমে কাজ করার আগে এই ঢাকনা অন্তত ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা খুলে রাখতে হয়। তখন অক্সিজেন প্রবেশ করলে অ্যামুনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সাসাইড বের হয়ে যায়। কিন্তু এখানে ঢাকনা অর্ধেক খুলে অপেক্ষা না করেই তারা নেমে পড়েন। ফলে এই বিষাক্ত গ্যাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

নিহত আল আমিনের ছোট ভাই মোবারক হোসেন জানান, তারা থাকেন সায়দাবাদ ওয়াসা কলোনীতে। তার বাবার নাম আজাদ। সকাল ৮টার দিকে আল আমিন বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যান। এরপর দুপুরে তার মৃত্যুর খবর পান তারা।

নিহত সাইফুলের ভাগিনা আল আমিন জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত রফিকুল। বর্তমানে সায়দাবাদ ওয়াসা কলোনীতে থাকতেন।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/ইআ