‘ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়েছিল, কারা ফলের ঝুড়ি দিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি’
২৯ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪৯
ঢাকা: রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কে বা কারা ফলের ঝুড়ি দিয়ে গেছে তা বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক ফেসবুক লাইভে আমানউল্লাহ আমান এই দাবি করেন।
এর আগে দুপুরে, আমানউল্লাহ আমান। সেখানে তাকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিনিধি দল। তারা আমানউল্লাহ আমানের জন্য একটি ফলের ঝুড়ি ও সঙ্গে দুপুরের খাবার নিয়ে যান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের জন্য ফল ও জুস পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের নির্দশন প্রকাশ করার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বিএনপির এই নেতা।
বিকেলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে আমানউল্লাহ আমান ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকার সময় ওষুধ দিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এমন সময় কে বা কারা তাকে দেখতে এসেছিল এবং ফলের ঝুড়ি দিয়ে গেছে তা আমি বুঝতে পারিনি। আন্দোলনে সংগ্রামে আমার যে ভূমিকা এবং চলমান আন্দোলনে আমার ভূমিকার পিঠে ছুরি মারার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে আমি আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আন্দোলনে থাকব।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমার বলেন, ‘আপনারা কোনো ষড়যন্ত্রে কান দেবেন না। কোনো গুজবে কান দেবেন না।’
ফেসবুক লাইভে আমার আরও বলেন, ‘আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক। আমি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্নেহধন্য সৈনিক। জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে আমি কাজ করে যাবে। রাজপথে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আমি রাজপথে আছি।’
সারাবাংলা/এজেড/একে