Wednesday 16 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ডিবি কার্যালয়ের খাবার নিয়ে সন্দেহ ছিল, তাই গ্রহণ করিনি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩১ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১০:০০

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডিবি কার্যালয়ে আমার জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, তা আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। ওই খাবার নিয়ে সন্দেহও ছিল। সেই কারণে ওই খাবার গ্রহণ করিনি।

‘তবে ডিবি প্রধানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সৌজন্যতা রক্ষায় হারুনের বাসা থেকে আনা খাবার থেকে ভাত, হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করেছি’- বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডিবি প্রধান আমাকে অনুরোধ করেছেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবি প্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো, এটা যদি গ্রহণ করি, তাহলে সমস্যা হবে না।’

বিজ্ঞাপন

‘আপ্যায়ন করে সেটার ভিডিও এবং ছবি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও কাজ বলে আখ্যায়িত করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘এ কাজটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় “খাইয়ে খোটা দেওয়া”। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের।কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের কোনো প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকারের কাছে এত টাকা নেই যে, গয়েশ্বরকে কিনতে পারে। সরকার গ্রেফতার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে- এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা- চিতায় উঠার আগে যেন এই সরকারের পতন দেখে যেতে পারি। চলমান গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন আমাকে চিতায় না তোলেন। মৃত্যু ছাড়া চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে আমাকে থামাতে পারবে না।

শনিবার গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সোনারগাঁও হোটেলের খাবার এনে আপ্যায়ন করার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন ডিবি প্রধান।

ওইদিন ধোলাইপাড়ে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের পর দুপুর ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে বিকেল ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে গয়েশ্বরকে নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর