Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অপচয়ের সুযোগ নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুলাই ২০২৩ ২২:০৯

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের অপচয় করার কোন সুযোগ নেই। যে ব্যয়টা না করলেই নয় শুধুমাত্র সেটিই করতে হবে।

রোববার (৩০ জুলাই) ‘চেঞ্জিং পপুলেশন ডায়নামিস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড পলিসি অ্যাকশনস টু রিয়ালাইজ দ্য ফাস্ট এন্ড সেকেন্ড ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এর আয়োজন করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকেই কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। কোনো কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি থাকলে আবার কেন তাকে প্রকল্প থেকে গাড়ি বা খরচ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য আহবান জানাচ্ছেন। আমরা এ ব্যাপারে আরও বেশি মনোযোগী হবো।

তিনি বলেন, জনসংখ্যা আমাদের মূল শক্তি ও সমস্যাও। কাজেই এই সমস্যাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রোববার (৩০ জুলাই) ‘চেঞ্জিং পপুলেশন ডায়নামিস অব বাংলাদেশ এন্ড পলিসি অ্যাকশনস টু রিয়ালাইজ দ্য ফাস্ট এন্ড সেকেন্ড ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জনমিতির সুবিধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণে নতুন নতুন গবেষণা প্রয়োজন। দেড় বছর পর তৈরি হতে যাওয়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কি ধরনের নীতিমালা নিতে হবে সেসব বিষয়ে ইউএনএফপিএ পরামর্শ দিতে পারে। সেই সঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল্যায়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনএফপিএ’র পিপিআর  চীফ ড. এম. শহিদুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় জেন্ডার গ্যাপ পূরণ। দেশে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাদের দেখাশুনা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ইউনিভার্সের পেনশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০২৩ কার্যকর ব্যবহার করা।

বক্তারা বলেন, জনমিতির যে সুবিধা এখন চলছে সেটি আর ১২-১৩ বছর চলতে পারে। এ অবস্থায় কর্মক্ষম জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নানা উদ্যোগ আছে। কিন্তু সেগুলোকে কার্যকর করতে হবে। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে অদক্ষ জনশক্তি পাঠাচ্ছি। অনেক শ্রমিক সেখানে কাজ করলেও রেমিটেন্স আসছে কম। কারণ তাদের বেতন কম। এজন্য বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আধা দক্ষ করে হলেও পাঠানো প্রয়োজন। পাশাপাশি দেশে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার এবং সময়োপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তারা পড়া লেখা করে দক্ষতা নিয়েই কাজে যোগ দিতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, আমাদের শ্রম শক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশের উপরে অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত। ফলে তাদের উৎপাদনশীলতার শক্তিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং ভোগও বাড়ছে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। এদিকে ভবিষ্যতে দেশে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়বে। তাদের নিয়েও ভাবতে হবে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. কাউসার আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইন্টিগ্রেটিং পপুলেশন ডায়নামিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইস্যুস ইনটু ন্যাসনাল প্লানস অ্যান্ড পলিসিস (পিডিফোর ডেভেলপমেন্ট) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাইসুর মাহমুদ চৌধুরী, সহকারি প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ইউএনএফপিএ’র রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন ব্লকহার্স প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/জেজে/এনইউ

অপচয় কৃচ্ছ্রসাধন পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর