পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বিস্ফোরণ, নিহত ৩৯
৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:২৫
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) বাজাউরে জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) কর্মী সম্মেলনে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২০ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণের দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।
রোববার (৩০ জুলাই) আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খার শহরে দলটির চার শতাধিক কর্মী-সমর্থক একটি তাঁবুর নিচে জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। খবর দ্য ডনের।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার বলেন, ‘হাসপাতালে ৩৯টি মরদেহ রয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা গুরুতর।’
প্রাদেশিক গভর্নর হাজি গুলাম আলিও মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পৌঁছাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে ফেলে।
কেপির তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ শাহ বলেন, ‘বাজাউর ও পার্শ্ববর্তী এলাকাজুড়ে হাসপাতালগুলোয় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আমরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে গুরুতর আহতদের পেশোয়ার এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে, বাজাউর জেলা জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান ডন ডটকমকে জানিয়েছেন, খার তহসিলের জেইউআই-এফ আমির মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।
বাজাউর জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল কামাল বলেন, ‘১৫০ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে বাজাউর জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে (এলআরএইচ) স্থানান্তর করা হচ্ছে।’ আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছেন বলে ডন’র খবরে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের সময় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা বয়ান শুনছিল। তখন একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে।’
এদিকে, সন্ধ্যায় জারি করা এক বিবৃতিতে কেপির তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আজম খান পুলিশের কাছে বিস্ফোরণের একটি বিশদ প্রতিবেদন চেয়েছেন। সেইসঙ্গে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলা/পিটিএম