শিক্ষা অধিদফতরের সিস্টেম এনালিস্টের কারাদণ্ড
৩১ জুলাই ২০২৩ ১৭:০০
ঢাকা: শিক্ষা অধিদফতরের সিস্টেম এনালিস্ট আবুল ফজল মো. বেলালের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। জাল-জালির মাধ্যমে ১০ জন শিক্ষক/কর্মচারী নাম এমপিও ভুক্তিকে দুর্নীতির মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। একইসঙ্গে রায়ে আবুল ফজল মো. বেলালের সহযোগী দক্ষিণ জয়নগর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. জসিম উদ্দিন (পলাতক) এর দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামি আবুল ফজল মো. বেলাল উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা মুলে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তবে অপর আসামি মো. জসিম উদ্দিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
অন্যদিকে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আড়পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মোঃ সোহেল রানা, এবতেদায়ী প্রধান মো. হাবিবুর রহমান, এবতেদায়ী ক্বারী শেখ আনোয়ার হোসেন, বাঁশগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার এম, এল.এস.এস. আজিবর রহমান, লক্ষীপুর কে.ইউ ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক (পদার্থ) মো. শফিকুল ইসলাম, ইউএমসি দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) এম.ডি. রাশিদুল হককে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগে থেকে জানা যায়, আসামিরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসা শাখার কোনো কর্মকর্তার এমপিও কারেকশন সীটে যাচাইকৃত স্বাক্ষর ছাড়াই বা উপপরিচারক অর্থ ও প্রশাসনের স্বাক্ষর ছাড়াই বিতর্কিত ১০ জন শিক্ষক/কর্মচারীর নামসহ এমপিও এর চূড়ান্ত শীট প্রিন্ট আউট করেন এবং এমপিও প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিতর্কিত ১০ জন শিক্ষক/কর্মচারীর নামে ২০১৩ সালের মে ও জুন বেতন/ভাতা উত্তোলন করে সরকারের এক লাথ ৯৪ হাজার ২২০ টাকা ক্ষতি হয়।
২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এ অভিযোগে দুদক উপপরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
২০১৭ সালের ১ আগস্ট মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক উপ-পরিচালক হেলল উদ্দিন শরীফ। পরবর্তীতে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন।
সারাবাংলা/এআই/ইআ