‘গয়েশ্বর, আমানের মতো গ্রেফতার অন্য নেতাকর্মীদের খাবার খাইয়েছেন?’
৩১ জুলাই ২০২৩ ২১:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সরকার গ্রেফতারের নাটক করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে মজার মজার খাবার খাইয়েছেন। আমরা জানতে চাই, তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মী যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদেরকে কি খাবার খাইয়েছেন? বরং ডিবি অফিসে গ্রেফতারকৃতদের জন্য যারা খাবার নিয়ে গেছে তাদেরকে গ্রেফতার করেছেন।’
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় জানানোর জন্য সারাদেশের মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় দুজন নেতাকে ছেড়ে দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন, মামলা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রজেক্ট শুরু হয়ে গেছে। বিগত নির্বাচনের মতো মনিটরিং সেলের নামে বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনাগোনা আবার শুরু হয়ে গেছে।’
‘কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। সরকারকে বিদায় জানানোর জন্য সারাদেশের মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জেল জুলুম হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের জয় সব সময় হয়েছে। যুগে যুগে স্বৈরাচারের পতন ইতিহাসে সাক্ষী আছে।’
সরকার দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বিএনপি যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গ্রেফতার প্রমাণ করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো কর্মসূচি দিলে তারা ঠিক একই সময়ে বারবার প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপি তারিখ, সময় ও স্থান পেছালে তারাও তারিখ, সময় ও স্থান পরিবর্তন করছে। তাদের দেউলিয়াপনা দেখে মনে হচ্ছে তারা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক।’
‘এটা ক্ষমতাসীনদের চরম নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা সেটি বুঝতে পারছে না। যেনতেনভাবে দেশের ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্ক্ষা শেখ হাসিনাকে বেসামাল করে দিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এম এ আজিজ, আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মো. শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান।
সারাবাংলা/আইসি/একে