বাবুল চিশতিসহ ৪ জনের সর্বোচ্চ সাজা চায় দুদক
১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৯
ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ ৪ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছে দুদক। প্রায় ১৬০ কোটি টাকার আত্মসাতের মামলায় এই দাবি জানান দুদক।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ সাজা দাবি করেন দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।
এদিন তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। আগামী ২৮ আগস্ট আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান। এদের মধ্যে বাবুল চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে এবং মাসুদুর রহমান ও রুজী চিশতী জামিনে আছেন।
মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
সারাবাংলা/এআই/এনএস