Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিবন্ধন চেয়ে আপিল বিভাগে ৪৭ জামায়াত সমর্থকের আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য সাবেক এমপিসহ জামায়াত সমর্থক ৪৭ নাগরিক আবেদন করেছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, হাফেজা আসমা খাতুন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম উমার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন।

পরে জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে আপিল বিভাগে বক্তব্য তুলে ধরতে ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক আবেদন করেছেন।

এর আগে গত ২৭ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন অবৈধের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছেন ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

তারও আগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এ আবেদন করেন।

দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানির জন্য সার সংক্ষেপ প্রস্তুত করতে গত ৩১ জানুয়ারি দুই মাস সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ। আর রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর।

পরে আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদের অনেকবার সময় দিয়েছেন। ওনারা গড়িমসি করে মামলা রেডি করছে না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিল। যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সার সংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।

বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ এ রায় দেন।

তবে এ রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী নিয়মিত আপিল করে।

২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর জামায়াতের তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

এর আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

তারও আগে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

আপিল বিভাগ জামায়াত টপ নিউজ নিবন্ধন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর