Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির যুবরাজও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ আগস্ট ২০২৩ ২০:১৩

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুই নেতা খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নির্বাচন করার যোগ্যতা কি আছে? এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কনভিকশন নিয়ে তিনিও নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। বিএনপির যুবরাজও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রংপুরের কাচারী বাজার রোডে জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ খেলা শুরু করে শেষ করতে পারব না। খেলা তো হবেই। খেলা হবে, মজাদার খেলা হবে। সময় বেশি নাই। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন?’

বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দলের কোমর ভেঙে গেছে। ওই দল আর পারবে না। খাদেপড়া দলের দফা আর বাস্তবায়ন হবে না। গোলাপবাগে গরুর হাটে বিএনপির কোমর ভেঙেছে একবার। এবার সোহরাওয়ার্দীতে গিয়ে পথের মধ্যেই হাটু ভেঙে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আচ্ছা একটা কথা বলেন তো- তাদের প্রধান নেতা কে? তারেক রহমান সে কি ইলেকশন করতে পারবে? ২০ বছরের সাজা অর্থপাচারের অপরাধে। মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছে। আজ আবার কত বছরের সাজা হয় জানি না? আজ সম্পদ লুকানোর মামলার রায় আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন বাদ, আরেক নেতা কে? খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার যোগ্যতা কি আছে? এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কনভিকশন নিয়ে তিনিও নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। যুবরাজও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ? কে বিএনপির নেতা? আমরা তো ঘোষণা করে দিয়েছি, আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ ৭৫ সালের পর আমাদের যে অর্জন দিয়েছে, সেই অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। এই অর্জন বাংলাদেশের ভাগ্যে আর জোটেনি। শেখ হাসিনা ১৫ বছরে জাতিকে অর্জন দিয়েছেন, উত্তরবঙ্গকে দিয়েছেন। কি রাস্তা! ঢাকা থেকে রংপুর প্রায় এসে গেছে। এরপর বুড়িমারী, তার পরে যাবে পঞ্চগড়। পঞ্চগড়ে ট্রেন, ভাবতে পারেন? সৈয়দপুরে ১৮টি প্লেন আসা-যাওয়া করে। এরপর আর কি উন্নয়ন চান? তিস্তা পাবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি আমরা পেয়েছি। তার নেতৃত্বে তিস্তা নদীর পানির ভাগও আমরা পাব। ইনশাআল্লাহ পাব। ধৈর্য ধরেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পালাবে না। আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। বন্দুকের নল ঠেকিয়ে আমরা ক্ষমতার উৎস পাইনি। শেখ হাসিনার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমতা। শেখ হাসিনার ক্ষমতা বাংলাদেশের এই মাটি। এই জনতা আমাদের শক্তি, আওয়ামী লীগের শক্তি, শেখ হাসিনার শক্তি। আমরা পালাব না, পালিয়েছে আপনাদের নেতা তারেক রহমান। কবে আসবে কে জানে? সাহস নাই। সাহস থাকে তো আসেন? রাজপথে খেলা হবে, মোকাবিলা হবে। রাজপথেই ফয়সালা হবে।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো ফয়সালা করবেন বলেছেন, করতে পারেননি। আমরা রাজপথেও আছি, নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছে তারা নির্বাচনেও হেরে যাবে।’

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগরের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাশেম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসন গ্রহণ করার পর বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন (বকুল)।

তার আগে বক্তৃতা করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এদিন দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতারা। এর আগে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সেই সফরে পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের বিএনপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর