মশা মারতে ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ শুরু রোববার
৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৩৯
ঢাকা: আগামী রোববার (৬ আগস্ট) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গুলশান দুইয়ের নগর ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। সভায় মশা নিধনে প্রথমবারের মতো কীটনাশক বিটিআই প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক র্যালি ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু দমনে নিয়মিত সর্বোচ্চ তদারকি ঔষধ প্রয়োগ কিংবা অভিযান চলছে। রোববার থেকে চলবে বিটিআই প্রয়োগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী জৈব কীটনাশক বিটিআই আনতে পেরেছি। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সিঙ্গাপুরের একটি বিশেষজ্ঞ টিমের শুক্র ও শনিবার কনফারেন্স হবে। আমাদের কর্মকর্তারা বিশেষজ্ঞ টিমের কাছ থেকে জানবে বিটিআই কীটনাশকটি কীভাবে মিক্সিং হবে, কীভাবে ও কোথায় ব্যবহার হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আগামী রোববার থেকে কীটনাশক বিটিআই প্রয়োগ করা হবে।’
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সিঙ্গাপুর থেকে পাঁচ টন বিটিআই এসে পৌঁছে ডিএনসিসিতে। সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে এটি এনেছে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কোম্পানি লিমিটেড নামক এক প্রতিষ্ঠান। প্রতি কেজি বিটিআইয়ের দাম পড়েছে ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা করে।
সিডিসি অনুযায়ী বিটিআই ব্যবহার করা হলে তা মানুষ, মৌমাছি, প্রাণী এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মশার সংখ্যা কমানোর জন্য সমন্বিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিটিআই ব্যবহার করা হলে তা সবচেয়ে কার্যকর।’
বিটিআই ব্যাকটেরিয়া মূলত মাটিতে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে মশায় রূপান্তরিত হওয়ার আগেই লার্ভাকে মেরে ফেলার জন্য বিটিআই ব্যবহার করা যায়।
বিটিআই ডিম থেকে বের হওয়া লার্ভাকে মেরে ফেলে। এতে পরিণত মশার সংখ্যা কমে যায়। ফলে মশার মাধ্যমে জিকা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা পশ্চিম নীলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
মশা-মাছির প্রাদুর্ভাবের আকারের ওপর নির্ভর করে, হ্যান্ডহেল্ড স্প্রেয়ার, ট্রাক বা বিমান ব্যবহার করে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বিটিআই পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (EPA)- নিবন্ধিত কীটনাশক। আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং জৈব কৃষি কার্যক্রমে এটি ব্যবহার করা হয়। এমনকি নির্দেশনা অনুসারে ব্যবহার করা হলে, এটি জমে থাকা পানিতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বিটিআই যেভাবে কাজ করে
ট্যাবলেট, ব্রিকেট, পেলেট, দানা বা তরলসহ নানা রূপে বাজারে পাওয়া যায় এটি। মশার লার্ভা, ব্ল্যাকফ্লাইস এবং ছত্রাক; বিটিআই ব্যাকটেরিয়া খেলে এগুলো তাদের শরীরে একধরনের টক্সিন বা বিষক্রিয়া তৈরি করে। ফলে তাদের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/আরএফ/একে