‘দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশন’
৩ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন ‘বিএনপি দমন কমিশনে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততম সময়ে। রাতের অন্ধকারে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এবং রায়ের দিনও আমাদের আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালত ফরমায়েশি রায় দিয়েছে।’
‘দুদক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষ বিশ্বাস করে, দুদক হচ্ছে বিএনপি দমন কমিশন। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণ যখন আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত, ঠিক তখনই এ ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নীলনকশার এই আজ্ঞাবহ রায় জনগণ মেনে নেবে না।’
সমাবেশে দলটির নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দিতেই তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের নীলনকশার ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘গত ১৪ বছরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সরকার জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে আক্রোশ মেটাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০১ বার পেছানো হয়েছে। রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩ বার পেছানো হয়েছে। অথচ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে মাত্র ১ মাস ২০ দিনে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘এই রায় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে। একতরফাভাবে সাজানো সাক্ষী দিয়ে শেখানো বুলি বলানো হয়েছে আদালতে। আমাদের আইনজীবীদের এজলাস থেকে বের করে দিয়ে তামাশার বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এই ফরমায়েশি রায় জনগণ মেনে নেবে না।’
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস