‘যদি শতভাগ চেষ্টা করি তাহলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব’
৩ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৯
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, যা দেখে খারাপ লাগে। বিশ্বের কোনো দেশই শতভাগ ডেঙ্গু নির্মূল করতে পারেনি। আমরা যদি শতভাগ চেষ্টা করি তাহলে অন্তত নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব। কাউন্সিলরদের কাছে অনুরোধ, আপনারা ডেঙ্গু নিধনে শতভাগ চেষ্টা করুন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা যে পর্যায়েই কাজ করুন না কেন জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। করোনার সময় যেরকম সবাই গুরুত্ব দিয়েছিল এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, তাতে করোনা যুদ্ধে আমরা সফল হয়েছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গুর মতো রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধেও আমাদের সেরকম সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।’
সমসাময়িক বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সারা পৃথিবীতেই এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। সেজন্য প্রধান কাজ হচ্ছে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে পারেন।’
এ সময় তিনি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা জন্মানোর মতন উপযুক্ত পরিবেশ আছে এরকম বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তব্য শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং এ সম্পর্কিত নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কল সেন্টারের মতন উদ্ভাবনের উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সচেতনতা তৈরিতে কাউন্সিলররা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে মসজিদের ইমাম ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। এ সময় ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একেএম শফিকুর রহমান ঢাকা উত্তরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর সচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগরভবনের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসীদের সচেতন করার লক্ষ্যে এক র্যালিতে অংশ নেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। র্যালিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা অংশগ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম