‘মাইক’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু
৪ আগস্ট ২০২৩ ০০:০১
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’র আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রচারণার প্রথম দিনে অংশ নেন সিনেমাটির অভিনয়শিল্পী বিশিষ্ট অভিনেতা তারিক আনাম খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও অভিনেত্রী তানভীন সুইটিসহ কলাকুশলীরা।
লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। গত ২৯ মে চলচ্চিত্রটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায়। এদিকে, ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে সিনেমাটির পোস্টার, ট্রেলার, টিজার ও গান। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ১১ আগস্ট।
‘মাইক’ চলচ্চিত্রের গল্পকার, প্রযোজক ও পরিচালক এফ এম শাহীন বলেন, ‘মাইক’ নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে। আগামী ১১ আগস্ট ‘মাইক’ দর্শকদের জন্য সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’র মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে।
প্রচারণায় অংশ নিয়ে অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ মার্চের ভাষণকে জানা ছাড়াও ‘মাইক’ সিনেমাতে অনেক ভালো গল্প আছে, অদ্ভুত সুন্দর গল্প আছে। একটা শিক্ষণীয় ছবি হয়েছে, তোমাদের সিনেমা হয়েছে। তোমরা সবাই বাবা-মাকে নিয়ে সিনেমাটি দেখবে। আমি নিশ্চিত এটা দেখলে সবার ভালো লাগবে।’
চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘মাইক’ সিনেমার মূল উপজীব্য ৭ মার্চের ভাষণ। যে ভাষণটি উদ্বুদ্ধ করেছে বাঙালি জাতিকে, যে ভাষণ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র। আজ আমরা এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি- এর সবকিছুর মূলে এই বক্তৃতা।’
তিনি বলেন, ‘একটা অন্ধকার সময় গেছে, যে সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধু কে- সেটা ভুলতে শুরু করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু শুধু ফ্রেমে বাঁধানো ছবি ছিলেন। তার কথা, বক্তৃতা শোনা যেত না। কিছুই আমরা জানতাম না। আজ ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে। এই ভাষণকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে শাহীন ভাই ছবিটি বানিয়েছেন।’
সকলকে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়ে অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, ‘আমরা নিজেরা জানতাম না পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ৭ মার্চের ভাষণ ছিল কিংবা দেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যা করার পর সবকিছু পাল্টে গিয়েছিল। অনেক কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই দেশটাকে কে তৈরি করে গেছেন? বঙ্গবন্ধুর ডাকে লাখ লাখ মানুষ ছুটে এসেছিল। আমরাইতো সেসব ইতিহাস জানি না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে জানবে? আপনারা সিনেমাটা দেখুন। যেই স্বাধীন দেশে বাস করছি সেই দেশের ইতিহাস তো সবাইকে জানতে হবে।’
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম