ইউরোপে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ
৬ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৮
ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) দেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০২১ সালে যেখানে পোশাক রফতানি ছিল ১৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে অবস্থান দ্বিতীয় হলেও প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০২২ সালে ১০৩ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর আগে, ২০২১ সালে ৮৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে পোশাক আমদানি করে ইইউ। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউয়নের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ইউরোপে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই শীর্ষে রয়েছে চীন। ২০২১ সালে ইউরোপে চীনে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। চীনের পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ ইউরোপে পোশাক রফতানি হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তুর্কি। ২০২২ সালে দেশটি ইউরোপে পোশাক রফতানি করেছে ১১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। তাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি বেড়েছে বাংলাদেশরই। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন ও তুর্কির রফতানি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১৭ ও ১০ শতাংশ। তবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩৫ শতাংশের উপরে। এছাড়া ভিয়েতনামের পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ও কম্বোডিয়ার ৩৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে ইউরোপে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম ও কম্বোডিয়া রয়েছে সপ্তম স্থানে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম