Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়র-সিডিএ চেয়ারম্যানের ভূমিকায় ক্ষোভ সিপিবি-বাসদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:১১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

সোমবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সিপিবি-বাসদের নেতারা এ দাবি জানান।

নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মৃণাল চৌধুরী, জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং সহ সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া।

মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি আসে-যায়, আশ্বাসের পর আশ্বাস আসে। জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি-বর্ষায় মানুষকে ঠিকই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রশ্ন করতে চাই, হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ হল, এ টাকা কোথায় গেল ? মানুষকে তবুও দুর্ভোগ পোহাতে হবে কেন ? জনগণের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার সরকারকে কে দিয়েছে ?’

অশোক সাহা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু সেটা দূর হওয়া দূরে থাক, এখন বৃষ্টি পড়লেই আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র দিচ্ছেন সিডিএর দোষ আর সিডিএর চেয়ারম্যান দিচ্ছেন মেয়রের দোষ। কেউ কারও কথা শোনে না, কারও মধ্যে সমন্বয় নেই। তাহলে জনগণের জবাব চাওয়ার অধিকার আছে, আমাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে আপনারা কী করলেন ?’

চসিক মেয়রের অপসারণ দাবি বাসদের

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগে চসিক মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।

নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাসদের জেলা ইনচার্জ আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য রায়হান উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সদস্য আকরাম হোসেন, ছাত্রফ্রন্ট নগরের সভাপতি মিরাজ উদ্দীন।

সভায় বাসদ নেতারা বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার সংকটে চট্টগ্রামবাসীকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরাদ্দ টাকা ব্যয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই। প্রশ্ন করলেই দুই প্রতিষ্ঠান একে অপরের ওপর দোষ চাপায়। জলাবদ্ধতার সমাধান করতে ব্যর্থ, অথচ ফ্লাইওভার, হাইওয়ে এক্সপ্রেসের মতো মেগাপ্রকল্পের দিকেই তাদের নজর।’

সারাবালা/আরডি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর