Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সেপ্টেম্বরে খুলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৪

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যাবেন। তার এ সফরের আগে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ দিয়ে যাত্রী চলাচল শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রামগড় মৈত্রী সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে। কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা চালু করে ফেলতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। তার (সফর) আগেও কিছু কিছু বিষয় আছে, এগুলো আমরা শেষ করতে পারিএ কথাগুলো আলোচনা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে কি আলোচনা হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানে। এটাতো আমার জানার কথা নয়। তবে যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এটার অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’

‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম দিয়ে ফেনী নদীর ওপর দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সেতু। ২০২১ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মৈত্রী এ সেতুর উদ্বোধন করেন।

১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নদী সেতু দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত যুক্ত হয়। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন।

১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড-এনএইচআইডিসিএল। এই সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফলে বন্দর থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

টপ নিউজ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর