মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১৫
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ক্যাপসুল লিফট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৩৭তম বৈঠকে এই নির্দেশ দেয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ ও স্কুল-কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নামকরণের জন্য সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং এ বি তাজুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বর্তমানে দেশে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের ভাতা বৃদ্ধি, দেশে-বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফসহ রেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময় (২০১৯-২০২৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মন্ত্রণালয় এবং তার আওতাধীন সংস্থা/বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংসদ সচিবালয় জানায়, চট্টগ্রামে ৪টি বেইসমেন্টসহ ২৯তলা বিশিষ্ট ‘টাওয়ার-৭১’ ও ২টি বেইসমেন্টসহ ১৯তলা বিশিষ্ট ‘জয়বাংলা’ বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পাশাপাশি তেজগাঁও এলাকায় মেটাল প্যাকেজেস লিমিটেডের লিজির নিকট পাওনা দুই কোটি টাকা বকেয়া ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়ের কাজের প্রশংসা করা হয়।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, জাতীয় চার নেতা এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস