গ্রাহক সেজে ব্যাংকে ঢুকে হাতিয়ে নেয় টাকা, গ্রেফতার ৩
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গ্রাহক সেজে ব্যাংকে ঢুকে বিভিন্ন কূটকৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে এক গ্রাহকের দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৭ আগস্ট) লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর। গ্রেফতার তিনজন হলেন- আবুল কালাম (৭০), রিপন গাজী (৪০) ও হারুন অর রশিদ ইকবাল (৪৫)।
কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে জানান, গত ৩০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে কাঞ্চন মজুমদার নামে এক গ্রাহক নগরীর লালদিঘী পাড়ের সোনালী ব্যাংকের করপোরেট শাখায় যান। তিনি মেয়াদ শেষ হওয়া তার ডিপোজিট পেনশন স্কিমের (ডিপিএস) ২ লাখ ৯ হাজার ৮০ টাকা গ্রহণ করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট কাউন্টারের সামনে ডেস্কের ওপর টাকার বান্ডিলগুলো রেখে গুণছিলেন।
এসময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মেঝেতে তার টাকা পড়ে গেছে বলে জানায়। কাঞ্চন মেঝে থেকে টাকাগুলো কুড়িয়ে নেওয়ার সময় ডেস্কের ওপর থেকে মোট দেড় লাখ টাকার তিনটি বান্ডিল নিয়ে অপর এক ব্যক্তি দ্রুত সটকে পড়েন। কাঞ্চন টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার পর তিনটি বান্ডিল নেই দেখে দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হন ধরার জন্য। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তারা সরে যান। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালী থানায় প্রথমে লিখিত অভিযোগ এবং ৭ আগস্ট মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকের অভ্যন্তরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা তিনজনকে শনাক্ত করি। এরপর তাদের অবস্থান জেনে লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করি। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ২ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’
গ্রেফতার তিনজন সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবুল কালামের বাড়ি ঢাকায়। বাকি দু’জনের বাড়ি খুলনা। এরা তিন-চারজন সংঘবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে। গ্রাহক সেজে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে। বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে ঘোরাঘুরি করে। সুযোগ বুঝে নির্দিষ্ট গ্রাহককে টার্গেট করে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে ব্যস্ত রাখে। টাকা পড়ে গেছে কিংবা টাকা ছেঁড়া কি না পরীক্ষা করে দেখতে বলে অথবা টাকা সাবধানে নেওয়ার কথা বলে। এর ফাঁকে একজন টাকার বাণ্ডিল পকেটে নিয়ে দ্রুত সরে পড়ে।’
আবুল কালামের বিরুদ্ধে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর ও ঝিনাইদহ জেলায় ৪টি এবং রিপন গাজীর বিরুদ্ধে খুলনা জেলার রূপসা ও লবণচরা থানায় ২টি মামলা আছে বলে এসআই মোমিনুল জানান।
সারাাবংলা/আরডি/এনএস