Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি-জামাত সবসময় দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫২

ঢাকা: বিএনপি-জামাত সবসময় বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, এরা দেশকে দ্বিখণ্ডিত করে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির জাগরণ ঘটিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে নষ্ট করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’র ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবনের সামনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এই খুনির দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী ও গণতন্ত্র হরণকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আলোর মশাল হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ ২১ বছর তিনি লড়াই সংগ্রাম করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গমাতার কথা স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন। বিশেষ করে ছয় দফা ঘোষণা করার পর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর চোখে রক্তশুলে পরিণত হন তিনি। যে কারণে বারবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় জাতির পিতার একজন দক্ষ অনুসারী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন এবং মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের মহানায়ক এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা হওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তানের সামরিক জান্তাবিরোধী আন্দোলনের মূল শক্তি ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের সবসময় পরামর্শ দিতেন এবং জাতির পিতার নির্দেশ ও পরামর্শ তাদের সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতেন। সে অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করতেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনি যেমন পরিবারের সন্তানদের দায়িত্ব পালন করেছেন তেমনি কোটি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেছেন।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ষড়যন্ত্র করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। সেদিন দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগের মধ্যেই একটি কুচক্রী মহল সেদিন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বের করে আনবে। জাতির পিতা জেলে থাকায় অনেক খবরই তিনি নিতে পারছিলেন না। তখন সেই সংবাদগুলো বঙ্গমাতা তার কাছে পৌঁছিয়ে দিতেন। বঙ্গমাতা সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাঙালি জাতি জেগে উঠেছে। তাই তিনি আপস করেননি।’

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ম আব্দুর রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয়, কাজী শহিদুল্লা লিটন, আবদুল আলীম বেপারী, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ উর রহমান টিটু, শাহ জালাল মুকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ’র সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, উত্তর’র সভাপতি ইসহাক মিয়া ও আনিসুর রহমান নাঈম, দফতর সম্পাদক আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

সারাবাংলা/আইই/পিটিএম

দেশের সম্প্রীতি নষ্ট বিএনপি-জামাত

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর